অ্যাভাটার ২০০৯

jamiul haque
1 minute read
0

"অ্যাভাটার" ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জেমস ক্যামেরন পরিচালিত একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভিত্তিক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির পটভূমি ২২ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন মানুষ আলফা সেন্টাউরি তারামণ্ডলের প্যান্ডোরা নামক একটি উপগ্রহে "আনঅবটেনিয়াম" নামক মূল্যবান খনিজ আহরণের জন্য অভিযান চালায়। প্যান্ডোরা গ্রহের স্থানীয় অধিবাসীরা "নাভি" নামে পরিচিত, যারা মানুষের মতো দেখতে হলেও লম্বা, নীল চামড়ার এবং লেজযুক্ত। মানুষের এই খনিজ আহরণ কার্যক্রম নাভিদের জীববৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়।



গবেষকরা নাভিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য "অ্যাভাটার" প্রোগ্রাম তৈরি করেন, যেখানে মানুষের ডিএনএ এবং নাভিদের ডিএনএ মিশ্রিত করে একটি সংকর দেহ তৈরি করা হয়। মানুষ এই অ্যাভাটার দেহের মাধ্যমে প্যান্ডোরার পরিবেশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এবং নাভিদের সাথে মেলামেশা করতে সক্ষম হয়। প্রধান চরিত্র জেক সুলি, একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রাক্তন মেরিন, তার মৃত ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়ে এই প্রোগ্রামে অংশ নেয়। অ্যাভাটার দেহে প্রবেশ করে, জেক প্যান্ডোরার জীববৈচিত্র্য ও নাভিদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয় এবং ধীরে ধীরে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।


নাভিদের নেত্রী নেইতিরির সাথে জেকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তিনি নাভিদের জীবনধারা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা লাভ করেন। এক পর্যায়ে, জেক বুঝতে পারেন যে মানুষের খনিজ আহরণ কার্যক্রম প্যান্ডোরার পরিবেশ ও নাভিদের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তিনি নাভিদের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। চলচ্চিত্রটি প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং মানবিক সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কে গভীর বার্তা প্রদান করে।


"অ্যাভাটার" চলচ্চিত্রটি তার অত্যাধুনিক ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এবং থ্রিডি প্রযুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। এটি মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্র হিসেবে স্থান পায়।


ছবিটির বাংলা ডাবিং দেখতে পারেন এখান থেকে।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)