সাপের বিষ দিয়ে কিভাবে তৈরি হয় এন্টিভেনম

jamiul haque
0

এন্টিভেনম কিঃ
এন্টিভেনম হল একধরনের ভ্যাকসিন, যা সাপে কাটা রোগীকে বাঁচাতে পুশ করা হয়। এছাড়াও বিষধর অন্য কোন কিটপতঙ্গের কামড়ের বিষ প্রতিরোধ করতেও ব্যবহার করা হয় এন্টিভেনম।



কিভাবে তৈরি করা হয় এন্টিভেনমঃ

উন্নত দেশে রয়েছে সাপের খামার। তারা এন্টিভেনম উৎপাদনের জন্য সাপের খামার করে থাকে। তাদের খামারে অনেক প্রজাতির সাপ তারা পালন করে থাকে। প্রথমত যে সাপের বিষ প্রতিরোধী ওষুধ অর্থাৎ এন্টিভেনম তৈরি করা হবে, সে সাপের বিষ সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা বিষ -২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষন করা হয় ফলে বিষ পাউডারে পরিনত হয়। পরবর্তীতে সেই পাউডার বিষকে গবেষনাগারে প্রক্রিয়াজাতকরন করে তরলে পরিনত করা হয়। এরপর সেই প্রক্রিয়াজাতকরন বিষ সবল, শক্তিশালী ঘোড়ার দেহে পরিমানমত পুশ করে দেয়া হয়। এতে করে ঘোড়া তিন থেকে চারদিন কিছুটা জ্বরে ভোগে। ঘোড়া হচ্ছে এমন একটি প্রানী যে প্রাকিৃতিকভাবে সাপের বিষের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। যার মানে হচ্ছে ঘোড়ার শরীর সেই বিষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে, ঘোড়ার রক্তে তখন বিষের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়। ঘোড়ার শরীরে তৈরি হল এন্টিভেনম। এরপর ঘোড়ার শরীর থেকে এন্টিবডিযুক্ত রক্ত অর্থাৎ এন্টিভেনমযুক্ত রক্ত পরিমানমত বের করে নেয়া হয়।ঠিক যেমন মানুষের শরীর থেকে রক্ত নেয়া হয়। এমনভাবে রক্ত নেয়া হয় যাতে ঘোড়ার ক্ষতি না হয়। এবারে ঘোড়ার রক্ত থেকে রক্তরস আলাদা করা হয়। রক্তকনিকাগুলিকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়, রক্তরস বা সিরামকে নেয়া হয়। এর কারন হল সেরাম বা রক্তরসে এন্টিভেনম থাকে। তারপর রক্তরস থেকে এন্টিভেনমকে পৃথক করে নেয়া হয়। পৃথক করে নেয়া এন্টিভেনমকে প্রক্রিয়াজাতকরন করে এম্পুলে ভরা হয়। এরপর তা বাজারজাতকরন করা হয়।

এন্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে ভেড়াকেও ব্যবহার করা হয়


Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)